চিবাইতে দিল কর্পূর তাম্বূল
স্নেহে সে যশোদা মা।
ধরিয়া চরণ জাতিয়া দিছেন
শীতল পাখার বা।।
বদন নেহালে যশোদা সুন্দরী
ঘুমল কমলআঁখি ।
গৃহকাজে মন করিল গমন
আন আন কাজ দেখি।।
“শুন নন্দঘোষ পাছে কর রোষ
কহিয়ে তোমার কাছে।
শুনিল বনের দুখের বিচার
কহিতে কি আর আছে।।
চোরা ধেনু সনে বহু দুখ মেনে
পাইল যাদব মোর।
শুনিতে শুনিতে পরাণ বিদরে
দুখের নাহিক ওর।।
বল দেখি তুমি এমন ধবলী
কেনবা পাঠাও বনে।
রাজকর লাগি এমন বয়সে
বঙ্কিল ধেনুর সনে।।”
নন্দ কহে–“শুন, এমন সম্পদ
আর না পাঠাব তারে।”
চণ্ডীদাস বলে– “ঐছন আরতি
এ লীলা বুঝিতে পারে।।”