চেন বা না চেন তুমি হইয়াছ ভূস্বামি
নাম বৃন্দে থাকি ব্রজপুরে।
পাঠাইলেন রাই আমারে
খতেক খাতক ধরিবারে
তাই এলাম যমুনার পারে।।
দিয়েছ হে লিখে যত
এই দেখ দস্তখত
স্বহস্তে লেখা শ্যাম তোমার।
তোমার লেখা স্পষ্ট স্পষ্ট
জগতে আছয়ে রাষ্ট্র
কর দৃষ্টি চক্ষে আপনার।।
কর নাকো বরাজোঢ়
রাইরাজার হুকুম জোর
জোর করি লব বৃন্দাবনে।
তেজিয়া মথুরাধাম
চলহ ওহে শ্যাম
চল এখন রাধার সদনে।।
ভেবো না শ্যাম ভাবনা কি
তোমার তো সকলি বাকী
উসুল কিছুমাত্র নাই।
গেলেই হবে বন্দোবস্ত
কেনে আর ঋণগ্রস্ত
সুদের দফা রফা দিবেন রাই।।
তার রাজ্যে কোটাল নাই
খেটে খোলসা হইও ঋণে।
যদি আসলে হয় অস্থিত
করিব স্থিত তোর জন্য ধরিব রাই চরণে।।
রাই রাজার করে ধরি এলে হে যমুনার পার
শ্যাম তোমার নাহিক নিস্তার।
সূর্য্য হয় অস্তগামি শীঘ্র হও অগ্রগামি
পশ্চাদগামি আমি হই তোমার।।
বিলম্বে কি ফলোদয়
ধার করিলে ধার শুধিতে হয়
চিরকাল এই ধার…নিস্তার।
সূর্য্য হয় অস্তগামী
শীঘ্র হও অগ্রগামী
পশ্চাদগামী আমি হই তোমার।।
নত জনের আছে ধারা
দ্বিগুণে খোলসা করা
তোমার ধারা করিব রাধার কানু।
গোবিন্দদাসে কয় এই যুক্তি রসময়
বৃন্দাবনে কর অগ্রসর।।