জটিলা আসিয়া তবে
কহয়ে সভারে এবে
পুরোহিত আনহ যাইয়া।
শুনি পুন কুন্দলতা
হৈল অতি হর্ষচিতা
সেইক্ষণে চলিলা ধাইয়া।।
দেখ কৃষ্ণের অপরূপ লীলা।
ধীর শান্ত কলেবর
সাক্ষাৎ বিপ্র-বেশ-ঘর
কেহ নাহি লখিতে পারিলা।।ধ্রু।।
কুন্দলতা দেবী আসি
কহয়ে বৃদ্ধারে ভাষি
মাথুর দেশীয় গর্গছাত্র।
ব্রহ্মচর্য্য সদা ধরে
না দেখে অবলা করে
আমার সাধনে আইলা মাত্র।।
শুনি সেই হর্ষমতি
করয়ে মিনতি স্তুতি
ত্বরান্বিতা কহয়ে বধূরে।
এই বিপ্র বিজ্ঞবর
সুশীল সর্ব্ব-গুণধর
পৌরোহিত্যে বরহ ইহারে।।
শুনিয়া রাই হর্ষ হৈয়া
ধীরে ধীরে কহে যাঞা
এই মোর মিত্র পূজিবারে।
বিশ্বকর্ম্মা নামখ্যাত
জগত মঙ্গল গোত্র
পুরোহিত বরিলুঁ তোমারে।।
তবে সেই বিপ্রবর
কুশাগ্রে কর্ষিয়া কর
রাইহস্তে পুষ্পাঞ্জলি দিল
নমো নমো মিত্রবরে
এই মন্ত্র উচ্চারে
অর্ঘ্য দিয়া পূজা সমাপিল।।
তবে বৃদ্ধা হর্ষভরে
দক্ষিণা লইতে তারে
পুন পুন যত্নেতে সাধিল।
তেঁহো কহে কার্য্য নাই
তোমা সভার প্রীতি চাই
এই মোর দক্ষিণা হইল।।
তবে সেই তুষ্ট হৈয়া
রতন মুদ্রাদি দিয়া
কহে নিত্য করাবে পূজন।
দণ্ডবৎ প্রণতি কৈলা
রাইকে লইয়া গেলা
সঙ্গে চলু এ যদুনন্দন।।