যমুনা কিনারে

জলধি মাগএ রতন ভঁডার

জলধি মাগএ রতন ভঁডার।
চাঁদ অমিয় দে সবর সসার।।
নাগর জে হোঅ কি করত চাহি।
জকরা জে রহ সে দে তাহি।।
সাজনি কি কহব আপন গেআঁন।
পর অনুরোধে কতএ রহ মান।।
বিনু পওলে তকরাহু দুর জাএ।
দুহু দিস পাএ অনুতাপ জনাএ।।
পওলে অমর হোএ দহু কোএ।
কাঠ কঠিন কুলিসহু সত হোএ।।

অন্তঃকথন:
রাধারানী তাঁর দুঃখের কথা, উপলব্ধির কথা সখীর সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন। বলছেন, দেখো সখী লোকে সমুদ্রের কাছে রত্নভাণ্ডার প্রার্থনা করে আর চাঁদ সমস্ত সংসারে অমৃত দান করে। প্রার্থনা করে পার্থিব ধন পাওয়া যায় কিন্তু অমৃত তো চেয়ে পাওয়া যায় না বল, কেউ যদি দান করে তবেই পাওয়া যায়! যে নাগর হয়, তার কাছে চেয়ে কি হবে বলো? যার যা থাকে সে তাই দিতে পারে। সজনি, নিজের মনের জ্ঞানের কথা আর কি বলব? পরকে অনুরোধ করলে মান কোথায় থাকে বলতো? আর চেয়ে না পেলে তো আরও মানহানি হয়, তখন দুদিক থেকেই অনুতাপ হয়। কেন চাইলাম আর চেয়েও কেন পেলাম না এ দুই অনুতাপ দগ্ধ করে। প্রার্থনা করে অমৃত পেয়ে কেউ কি অমর হয়? সে অমৃত কাষ্ঠের মত কঠিন এবং শত বজ্রের মত অসহ্য হয়ে ওঠে!

পদকর্তা:বিদ্যাপতি
রাগ:অজ্ঞাত
তাল:অজ্ঞাত
সংকলন:দেবহূতি সরকার

সন্ধিনী