জলেনি যাইবায় সখী গো চল প্রাণেশ্বরী, যমুনার ঘাটে বাজে মোহন মুররী।
কাংখেতে কলসী লইয়া না কর বিরাজ, অবিলম্বে গিয়া সবে দেখি যুবরাজ।
মুররী বাজায় কালা নামে নামে ডাকে, কলসী লইয়া চল যার মনে থাকে।
সব সখী চালে গেল দিয়া প্রেম মালা, আনন্দে মিলল আসি শ্যাম চিকন কালা।
গোকুলের যত নারী আনন্দ রঙ্গেতে, কাংখেতে কলসী লইয়া চলিলা রঙ্গেতে।
কাংখেতে লৈয়া কুম্ভ সব সখী চলে, প্রেমমালা দিয়া যত কলসীর গলে।
কদম্বের তলে কালা ফুঁকে মোহন বাঁশী, নিরখিয়া চায় রূপ যতেক রূপসী।
বাঁশী বায় চিকন কালা কোকিলার সুরে, যুবতী সবের শুনি দরদ অন্তরে ।
কাংখেতে কলসী লইয়া যত ব্রজদারা, দেখয়ে প্রভুর লীলা খাড়া হইয়া তারা।
প্রেমমালা হাতে লইয়া সখী সবে চলে, প্রেম ভাবি হইয়া দেয় মনচোরার গলে।
আনন্দে মোহিয়া প্রভু আকুলিত মন, কামভাবি হৈয়া দেয় প্রেম আলিঙ্গন।
রাঙ্গা পদে প্রণামিয়া যতেক রুপসী, জলেতে চলিলা সবে ভরিতে কলসী।
সারি সারি হৈয়া চলে ঘাটের কূলেতে, জল ক্রীড়া খেলে তারা সকলে জলেতে।
জলক্রীড়া করি সবে খেলে এক সঙ্গে, কলসী ভরিয়া চলে আনন্দিত রঙ্গে।
কলসী ভরিলা যদি সকল যুবতী, দেখিয়া চিকন কালা আকুলিত মতি।
শিতালং ফকিরেকয় ভবেতেআসিয়া কলসী নাহৈল ভরা নাভজিলু প্রিয়া।