তবে কহে রাই দূতীর গোচরে —
“কেন বা আইলে ইথে।
কিসের কারণে তোমার গমন
কহ কহ শুনি তাথে।।”
কহে সেই সখী– “শুন চন্দ্রমুখি,
তোমারে আইল নিতে।
নিকুঞ্জে একলা বসিয়া নাগর
চাহিয়া তোমার পথে।
কেন বা তা সনে মান অভিমান
যারে না দেখিলে মর।
সে হেন পীরিতি তেজিয়া আরতি
তাহারে গুমান কর।।
সে নব নাগর তেজিয়া বৈভব
তোমার ধেয়ান রাধা।
তুয়া গুণগান জপিতে জপিতে
সে শ্যাম হইল আধা।।
তুমি বিদগধ তুমি বৈদগধি
গুণের নাহিক সীমা।
চতুর নাগরী গুণের আগরী
মান পথে দেহ ক্ষেমা।।
জগজনে কয় রাধা ধীরময়
সকল গোচর আছে।
যে বুঝে যে বুঝে কহি তার মাঝে
কহিয়ে তোঁহার কাছে।
তুমি শ্রেয়সমা তুমি কুলরামা
তুমি সে রসের নদী।
যার সব গুণ নিগূঢ় মরম
পঞ্চতত্ত্ব যার সিদ্ধি।।
আট গুণ গুণ তার পহু গুণ
এ নব যাহার গতি।”
চণ্ডীদাস কহে– রসতত্ত্ব লাগি
কুঞ্জেতে যাহার স্থিতি ।।