দূতী কহে শুন আমার বচন
করিয়ে আদরপনা।
সে হেন নাগর গুণের সাগর
অতি সে সুজন জনা।।
তোমার লাগিয়া রজনী জাগিয়া
সে হরি কাতর হয়।
দিয়া দরশন কর পরশন
আমার মনেতে লয়।।
এখনে ছাড়িয়া যাহত চলিয়া
দুগুণ উঠয়ে দুখ।
তাহার সনেতে কিবা পরিচয়
এ লেহা রসের সুখ।।
জানিল তাহার যত বড় তেঁহো
কালিয়া বিষের রাশি।
কুলের ধরম সরম ভরম
সকল হইল হাসি।।
সে দেশে যাইব যথা না শুনিব
কালিয়া-বরণ নাম।
সেই দেশে যাব শুনহ সজনি
রহব সেই সে ঠাম।।
অনেক যতন করিল সঘন
রাধার না ঘুচে মান।
কাষ্ঠের পুতলি রহে দাঁড়াইয়া
মনেতে ভাবয়ে আন।।
মান না ভাঙ্গিতে পারিল সজনী
চলিল শ্যামের পাশে।
দূতী গেল যথা নাগর-শেখর
কহেন এ চণ্ডীদাসে।।