দৈব যুকতি বিশেষ গতি
যাহারে লাগয়ে তায়।
আন আন জনে করিয়া যতনে
প্রেমেতে গড়ায়ে দেয়।।
সই,এমন কানুর রসে।
জনম অবধি রহিবে পীরিতি
বিচ্ছেদ না হবে শেষে।।
যেই মনে ছিল তাহা না হইল
সোঙরি পরাণ কাঁদে।
লেহ দাবানলে মন যেন জ্বলে
হরিণী পড়িল ফাঁদে।।
পলাইতে চায় পথ নাহি পায়
দেখি যে অনলময়।
বনের মাঝারে ছট্‌ফট্‌ করে
কত বা পরাণে সয়।।
বাহিরে আসিয়া বাণ যে খাইয়া
পশিতে তাহাতে পুনঃ।
গরল আনলে শরীর বিরল
শামাইতে নারে যেন।।
কবিবর আদি না পায় সমাধি
ফিরিয়া চীৎকার করে।
একে কুলনারী ফুকারিতে নারি
ননদী আছয়ে ঘরে।।
এমতি আকার পীরিতি তাহার
রহিয়া দহিছে মনে।
ননদী বচনে দগধে পরাণে
পাঁজর বিঁধিল ঘুণে।।
নয়নে নয়নে নয়ন-পিঁজরে
রাখয়ে আপন কাছে।
জলে যাই যবে সঙ্গে চলে তবে
শ্যামেরে দেখি যে পাছে।।
চণ্ডীদাস কয় বাশুলী সহায়
মনেতে থাকয়ে যদি।
যে জন যা বিনে না জীয়ে পরাণে
তার কি করে ননদী।।