দয়া কর ললিতা গো শ্রীরূপমঞ্জরী।
তোমার কৃপাতে পায় কিশোর কিশোরী।।
তোমার দয়া হলে পায় নন্দের কুমার।।
ধর্ম বিধর্ম বেদ মর্ম নাহি কৃপাচার ।।
(ধর্ম অধর্ম) দুই আমি কিছুই না জানি।
ব্রজে উজ্জ্বল প্রেম করি টানাটানি।।
নিত্য সঙ্গ দেহ মোরে কর অনুচরী।
এইবার করুণা কর শ্রীরূপমঞ্জরী।।
নব সখিগণ মোর বিনয় বচন।
কৃপা করি দেহ মোরে ব্রজেন্দ্রনন্দন।।।
প্রিয় সখী ললিতা বিশাখা সুন্দরী।
করুণা করিয়া দেখাও চরণ মাধুরী।।
সুচিত্রা চম্পকলতা রঙ্গ সুদেবিকা।
মানূষ শরীরে পায় তোমা সবার দেখা।।
তোমা সবার করুণা আর হবে কতদিনে।
কবে রাধাকৃষ্ণ চন্দ্র দেখিব নয়নে।।
কবে অনুগত হবো সখি সঙ্গে স্থিতি।
আনন্দ মনে কবে হব স্বরূপ আকৃতি।।
শ্রীরূপমঞ্জরী আর শ্রীরতিমঞ্জরী।
শ্রীগুণমঞ্জরী সঙ্গে বিলাসমঞ্জরী।।
গিরি গোবর্ধন আর রাধাকুণ্ড তীর।
প্রেম সুধাপানে সবে হৈলা অস্থির ।।
শ্রীচৈতন্য নিত্যানন্দ অদ্বৈত গোসাঞি।
পতিত পাবন প্রভু তোমা বিনে নাই।।
প্রাণের স্বরূপ মোর রামানন্দ রায়।
দাস রঘুনাথ রাধাকুণ্ডের সহায়।।
বিষয় বাসনা মোর নাহি গেল কভু।
নিত্য বাস ব্রজে দিয়া কৃপা কর প্রভূ।।
শ্রীরূপমঞ্জরী পাদপদ্ম করি আশ।
প্রার্থনা করয়ে সদা নরোত্তম দাস।।