নিকুঞ্জ মন্দির ঘরে ধরি কিশোরীর করে
কহিছেন রসময় হরি।
বিশাখাকে কহে ডাকি পাশা আন প্রাণসখি
রাই সঙ্গে খেলাইব সারি।।
ললিতা কহয়ে হাসি হারিলে লইব বাঁশী
রাই দিবে গজমোতি হার।
হাসিয়া কহেন হরি আমি যদি জিনি সারি
রাই চুম্ব দিবে শতবার।।
শুনিয়ে শ্যামের কথা কহিছে চম্পক লতা
থাক বন্ধু ভরমে সরমে।
কহিবার কথা নয় রাইয়ের যদি জয় হয়
যা করিব তাহা আছে মনে।।
পরিহাস হাস্যরসে মু’খানি ঝাঁপিয়ে বৈসে
রাই সারি দিল ফেলাইয়া।
রাই ফেলে দশ চারি ললিতা চালায় সারি
জয় জয় আনন্দিত হইয়া।।
হাসিয়া হাসিয়া হরি করেতে লইলা সারি
পাশাতে পড়িল তিন বিন্দু।
নাগরের মুখ হেরি হাসে যত ব্রজ নারী
হারিলে হারিলে শ্যাম বন্ধু।।
এক সখী হাসিহাসি কাড়িয়া লইল বাঁশী
করতালি সবাই বাজায়।
অকিঞ্চন দাসে কয় রাধার হইল জয়
গোপীর অধীন শ্যামরায়।।