নিশি গেল দূর প্রভাত হইল
উঠল শ্যামরুচন্দ্র।
মুখ শশীখানি সুবাসিত জলে
ধোয়ল গোকুলচন্দ্র।।
স্নেহে যশোমতী আদর স্বভাবে
এ ক্ষীর নবনী আনি।
কানাই-বদনে দিয়া সে যতনে
কহেন মধুর বাণী।।
আজু বনে তুমি যাবে যাদুমণি
শুনিতে লাগয়ে ডর।
লোকমুখে শুনি বিষম কাহিনী
থাকয়ে কংসের চর।।
কানু বলে মাতা না কর সংশয়
তোমার চরণ আশে।
কি করিতে পারে দুষ্ট কংসচরে
তারে বা গণিয়ে কিসে।।
মায়ের করুণ বচন শুনিতে
সে হেন যাদব রায়।
মধুর বচন করিয়া ছন্দন
আরতি কহিছে মায়।।
কোটি কংস তারে কটাক্ষ নিমিষে
করিতে পারিয়ে ধ্বংস।
কি করিতে পারে দুষ্ট কংস মোরে
আমি যদুকুলবংশ।।
মায়েরে ভুষিয়ে চতুর কানাই
শুন গো বেদনী মায়।
বেশের রচনা করছ রচনি
দীন চণ্ডীদাস গায়।।