পরাণ-বঁধুকে স্বপনে দেখিনু
বসিয়া শিয়র পাশে।
নাসার বেশর পরশ করিয়া
ঈষৎ মধুর হাসে।।
পিঙ্গল বরণ বসনখানিতে
মু’খানি আমার মুছে।
শিথান হইতে মাথাটি বাহুতে
রাখিয়া শুতল কাছে।।
মুখে মুখ দিয়া সমান হইয়া
বঁধুয়া করিল কোলে।
চরণ উপরে চরণ পশারি
পরাণ পাইনু বলে।।
অঙ্গ-পরিমল সুগান্ধ চন্দন
কুঙ্কুম কস্তূরী পারা।
পরশ করিতে রস উপজিল
জাগিয়া হইনু হারা।।
কপোত পাখীরে চকিতে বাঁটুল
বাজিলে যেমন হয়।
চণ্ডীদাস কহে এমন হইলে
আর কি পরাণ রয়।।