পাই অবসরে রাই সে সত্বরে
আইলা সখীর মাঝে।
তবে সখীগণ খসায়ে ভূষণ
পরায় সিনান-সাজে।।
সখি দেখ না রাইএর রঙ্গ।
রতিপতিকতি বিন্ধিলা যুবতি
ধাধসে সে দিলা ভঙ্গ।।
হাস পরিহাসে বসিয়া আয়াসে
মুখানি মাজল নীরে।
মাজল যতনে দশন রসনা
শোধল মরীচ চুরে।।
তৈল আমলকী দিল সব সখী
উবটনে তুলি মলা।
সুগন্ধি সলিলে সিনান করিয়া
শীতল হইলা বালা।।
গামছা আনিয়া গাথানি মোছাঞা
পরায়ে নীলিম-বাস।
বেশের মন্দিরে বসিলা সত্বরে
সখীগণ চারি পাশ।।
সে কালে বিস্তার ষোড়শ শিঙ্গার
করিয়া হেরয়ে মুখ।
কৃষ্ণ অবশেষে করিয়া পরশ
পাইল পরম সুখ।।
কহে রঙ্গলতা ধনী শুন কথা
তোমারে নিবার তরে।
কুন্দলতা হেন দেখিনু এখন
পশিল জটিলা ঘরে।।
সে সব কাহিনী শুনি বিনোদিনী
পুলকে পুরিল গায়।
রাইয়ের ইঙ্গিতে বারতা বুঝিতে
চলল শেখর রায়।।