পুনঃ শিশুগণে করল হরণ
রাখিল গোপন করি।
ব্রহ্মার মনেতে করি কিছু চিতে
‘ইহ কি গোলোক-হরি ?’
এই দড়াইয়া ধেনু-বৎস লয়া
বুঝিতে আপন মন।
তেঁই সে হরিল বালক সকল
বুঝিবে কোন বা জন।।
হেথা বনমালী খুঁজিয়া বিকল
না পাই ধেনুর লাগি।
কমল-লোচন না স্ফুরে বচন
উঠত বিরহ-আগি।।
আসি সেইখানে ভোজনের স্থানে
না দেখি বালকগণে।
হইয়া বিরস– “এ কি পরমাদ
এমন হইল কেনে!”
বদনে না স্ফুরে একটি বচন
নয়নে গলয়ে বারি।
কে হেন করিল বিপদ্‌ আপদ্‌
বিরহ দেওল ঢারি।।
“কোথা ব্রজবালা রাখালের মেলা
সে হেন সুন্দর গাই।
কোথায় রহল কিছু না জানল”
দ্বিজ চণ্ডীদাস গাই।।