প্রথমে জননী-কোলে স্তন-পান-কুতূহলে
অজ্ঞান আছিলুঁ মতি-হীন।
তবে ত বালক-সঙ্গে খেলাইলুঁ নানা রঙ্গে
এমতি গোঙাইলুঁ কত দিন।।
দ্বিতীয়-সময় কাল বিকার ইন্দ্রিয়-জাল
পাপ পুণ্য কিছুই না ভায়।
ভোগ-বিলাস নারী এ সব কৌতুক করি
তাহা দেখি হাসে যম-রায়।।
তৃতীয়-সময় কালে বন্ধন সে হাতে গলে
পুত্র কলত্রে গৃহ-বাস।
আশা বাঢ়ে দিনে দিনে ত্যাগ নাহি হয় মনে
হরি-পদে না করিলু আশ।।
চারি কাল গেল যদি হরিল আঁখের জ্যোতি
শ্রবণে না শুনি অতিশয়।
বলরাম দাস কয় এইবার রাখ মহাশয়
ভক্তি-দান দেহ রাঙ্গা-পায়।।