প্রভুরে রাখিয়া শান্তিপুরে।
নিত্যানন্দ আইলেন নদীয়া নগরে ।।ধ্রু।।
ভাবিয়া শচীর দুঃখ নিত্যানন্দ রায়।
পথমাঝে অবনীতে গড়াগড়ি যায়।।
ক্ষণেকে সম্বরি নিতাই আইলেন ঘরে।
শুনি শচী ঠাকুরাণী আইলা বাহিরে।।
দাঁড়ায়ে মায়ের আগে ছাড়য়ে নিশ্বাস।
প্রাণ বিদরয়ে ভাইয়ের কহিতে সন্ন্যাস।।
কাতরে পড়িয়া শচী দেখিয়া নিতাই।
কাঁদি বলে কোথা আছে আমার নিমাই।।
না কাঁদিও শচীমাতা শুন মোর বাণী।
সন্ন্যাস করিল প্রভু গৌরগুণমণি।।
সন্ন্যাস করিয়া প্রভু আইলা শান্তিপুরে।
আমারে পাঠাঞা দিলা তোমা লইবারে।।
শুনিয়া নিতাইর মুখে সন্ন্যাসের কথা।
অচেতন হৈঞা ভূমে পড়ে শচী মাতা।।
উঠাইল নিত্যানন্দ চল শান্তিপুরে।
তোমার নিমাই আছে অদ্বৈতের ঘরে।।
শচী কাঁদে নিতাই কাঁদে নদীয়ানিবাসী।
সবারে ছাড়িয়া নিমাই হইল সন্ন্যাসী।।
কহয়ে মুরারি গোরাচাঁদে না দেখিলে।
নিশ্চয় মরিব প্রবেশিয়া গঙ্গাজলে।।