“প্রাণনাথ, একবার চাহিয়া কহ কথা।
সে সুখ পাসরে এবে তুঁহু মধুপুর যাবে
রমণী মরমে দিয়া ব্যথা।।
এমন করিবে তুমি স্বপনে নাহিক জানি
তবে কি করিথু নব লেহা।
তাপেতে তাপিনী যত তাহা না কহিব কত
কুবচনে ভাজা এই দেহা।।
অনেক কহিলে বাণী শুন ওহে যদুমণি,
সকল গোচর রাঙ্গা পায়।
এবে নিদারুণ কেনে বধিয়া রমণীগণে
কি সুখে মথুরাপুরী যাও।।
বিরলে তু নিয়া ঘর দেখা শুনা নিরন্তর
শীতল চামরে দিব বা ।
কুসুম-শয়নশেষে বিচিত্র পালঙ্ক সাজে
জাতি জাতি দিব দুটি পা ।।
কর্পূর তাম্বল দিব বাটা ভরি পান নিব
দিব তুলি শ্রীমুখ-মণ্ডলে ।
শ্রম নিবারণ হব এ চূয়া-চন্দন দিব
চরণ পাখালি কুতূহলে।।
এ সুখ-সম্পদ ছাড়ি কোথারে যাইবে এড়ি
রহ রহ প্রাণের কানাই।”
চণ্ডীদাস বলে তায়- “শুন নাথ যদুরায়
আমরা দাঁড়াব কোন্‌ ঠাঁই।।”