প্রাণের মুকুন্দ হে তোমরা কি সুধাও আমায়।
যে দুঃখ মরমে পাই কহিবার নাহি ঠাঁই
ইহা কহি কাঁদে গোরা রায়।।ধ্রু।।
দেখিয়া জীবের দুখ ছাড়িনু গোলোকসুখ
লভিলাম মনুষ্য জনম।
পাইলাম কষ্ট যত তোমারা পাইলা তত
হইল সব পণ্ড পরিশ্রম।।
পণ্ডিত পড়ুয়া যারা আমারে না মনে তারা
মোর উপদেশ নাহি লয়।
ভাবি হই বুদ্ধিহারা কিরূপে তরিবে তারা
দূর হবে নরকের ভয়।।
অনেক চিন্তার পর দঢ়ায়িনু এ অন্তর
আমি ত্বরা ছাড়ি গৃহবাস।
মস্তক মুণ্ডন করি এ ডোর কৌপীন পরি
অবিলম্বে লইব সন্ন্যাস।।
তবে ত পাষণ্ডী সব শুনি হরি হরি রব
নামে প্রেমে হইবে পাগল।
সবে যাবে নিত্যধাম পূর্ণ হবে মনস্কাম
অবতার হইবে সফল।।
প্রভু যবে হেন কৈল মুকুন্দ মূর্চ্ছিত হৈল
কতক্ষণে সম্বিত পাইলা।।
শ্রীগোবিন্দ ঘোষে কয় এ তব উচিত নয়
সাঙ্গ করা নদীয়ার লীলা।।