প্রাতঃকালে নিত্যকৃত্য করি পৌর্ণমাসী।
কৃষ্ণের জননীস্থানে মিলিলেন আসি।।
তারে প্রণমিয়া রাণী আশিস লইলা।
কৃষ্ণের শয়নঘরে গমন করিলা।।
হেনকালে শ্রীদামাদি যত সখাগণে।
উঠ কৃষ্ণ কৃষ্ণ ধ্বনি করয়ে অঙ্গনে।।
বাৎসল্যে ব্যাকুল রাণী কহে মৃদু বাণী।
উঠ পুত্র মুখপদ্ম দেখুক জননী।।
বলরামের নীলবস্ত্র কেমনে পরিলা।
গেরুয়ার দাগ ভালে কেমতে লাগিলা।।
অসময়ে ফাগু অঙ্গে কেবা তোর দিল।
হিয়ায় কণ্টকদাগ কেমনে লাগিল।।
সদাই গহনবনে করহ ভ্রমণ।
এতেক কহিতে রাণীর ঝরে দুনয়ন।।
নিছনি যাইয়ে পুত্র উঠহ এখন।
কহয়ে মাধব উঠি বসিলা তখন।।