প্রেম বিদ্যা তরঙ্গ বিদ্যা কে শিখাইল বন্ধুরে। সই কটাক্ষেতে মন যে হরে ।
কি সন্ধানে বাজায় বাঁশী মধূর সুরে, চিত্ত মোর উচাটন ধৈর্য নাহি মানে।
উন্মাদিনী কইল মোরে সই কেমনে রহিব ঘরে।
নিল কুলমান সেত যাদুকরে, কলঙ্কিনী হইয়া যদি পাইতাম বন্ধুরে।
সুখে কাল কাটাইতাম গো সই দুঃখ থৈয়া দূরে।
ব্রজপুরের যতনারী আছে তারা ঘরে । নিষ্কলঙ্কী আছে তারা চায় না বন্ধুরে।
যেচাহিল প্রাণেমইল ভাসলাম অকুলসায়রে। নয়নে যখন গো সই দেখা হয় তারে,
মনে লয় বন্ধুরে রাখি হৃদয়ের মাঝারে। চায় না কেবল লোকের ভয়ে গো।
নয়ান রাখি শ্যাম পানে বিরহের জ্বালা, আমার গো সই আমার অন্তরে।
শিতালং বলে ধনি না দেখিলে নারি। সে জ্বালায় জ্বলিয়া মৈলামদহে সদায়অন্তরে।