ফুলি ফুলি কান্দে স্থির নাহি বান্ধে
সে হেন রসিক রায়।
সদয় হৃদয় কাঁদিতে কাঁদিতে
সুবল পানেতে চায়।।
না বল না কহ ও সব বচন
কহিতে পরাণ ফাটে।
হিয়া জর জর পুড়য়ে অন্তর
অধিক জ্বলিয়া উঠে।।
শ্রীদাম সুদাম আর বসুদাম
অপর যতেক সখা।
আর না হেরব ও মুখমণ্ডল
আর না হইব দেখা।।
মো সবা বিসরি যাবে মধুপুরী
শ্রবণে শুনিতে ইহা।
কিসের কারণে জীব সখাগণে
কি ছার রাখিতে দেহা।।
কহে বনমালী লোরে আঁখি ভরি
সবারে তুষিয়া কহি।
সরল হৃদয় করহ বিদায়
লাজে মুখ বাঁকে রহি।।
কহে সখাগণ কেমন বচন
এ বোল কেমনে বলি।
হয় নহে দেখ মনে বিচারিয়া
শুন কানু বনমালী।।
চণ্ডীদাসে বলে এ বোল কেমনে
কহিয়ে না লয়ে মন।
প্রাণের দোসর তুমি সে সবার
যেমন বাপের ধন।।