বনায়্যা আমার বেশ উভ করি বান্ধে কেশ
তাহে দেয় মউয়ের পুচ্ছ।
নিরখি নিরখি কত বনায় নিজ অভিমত
গাঁথি দেয় মালতির গুচ্ছ।।
সই নানা-ফুলে গাঁথি দেয় মালে।
কুঙ্কুম চন্দন ঘসি মাজয়ে বদন-শশী
অলকা তিলক দেয় ভালে।।ধ্রু।।
রঙ্গিম-পাটের ধটী পরায় কত পরিপাটী
করের মুরলী দেয় হাতে।
হৈয়া কত কুতূহলে ত্রিভঙ্গ হইতে বোলে
কত সুখে ফিরে সাথে সাথে।।
কখন উরুতে রাখে কখন ধরয়ে বুকে
সমুখে বসায়্যা মুখ চায়।
নিমানন্দ দাস বোলে বন্ধু বিদগধ হৈলে
কত সুখ-সাগরে ভাসায়।।