বসন্ত আইল প্রাণের বৈরী, তোরা দেখলো সখিরে, বসন্ত আইল প্রাণের বৈরী। ধু
আইল বসন্ত রিত, ফুল ফোটে সুললিত, মধুলোভে গুঞ্জরে ভ্রমরা।
কামিনী পরশে ভানু, কামে অঙ্গ দহে তনু, বৃন্দাবনে ফুটিছে কমলা।।
আইল শিশির-বৈরী, অঘোর গম্ভীর করি, নিশি দিশি নাহি মেলে আঁখি।
দাদুরী কামদ গায়, ত্বরিতে নয়ন ধায়, শুনি কহে ব্রজ ভানুর সূতা।।
অঘোর সাঁঝুয়া বেলা, কি বোল বোলিয়া গেলা, যদি না আসিবা ছিল মনে।
এক কহ আর হয়, এমন উচিত নয়, এত দুঃখ কেনে দেও মোরে।।
বহুল যতন করি, শয্যা সাজাইলাম নারী, নানান সুগন্ধি পুষ্প দিয়া।
বাটায় তাম্বুল ভরি, অষ্ট অলঙ্কার পরি, সব নিশি জাগিলাম বসিয়া।।
যখনে পিরীতি কৈলা, রাত্রি দিন আইলা গেলা, ভিন্ন ভাব না আছিল মনে।
সাধিয়া আপনা কাজ, কূলেতে রাখিয়া লাজ, এবে সে না চাহ চক্ষুর কোণে।।
তোমার কঠিন হিয়া, আনলেতে কাষ্ঠ দিয়া, কোথা গিয়া রহিলা ভুলিয়া।
অধীন হাসমত বলে, জল ঢাল সে আনলে, নিবারহ প্রেমরস দিয়া।।