বেশ ধরি নাপিতানী চলিল নাগর-মণি
আনন্দিত হঞা বড় মন।
পদ আধ চলি যায় পুলকিত সব গায়
রাধা-পদ-সেবার কারণ।।
গোকুল নগর হৈতে আইলা সে জাবটেতে
রাজপথ দিয়া চলি যায়।
হেনই সময়ে দেখি রাধিকার এক সখী
শ্যামবর্ণ দেখিয়া সুধায়।।
কোথায় তোমার বসতি হও তুমি কোন্‌ জাতি
কিবা কাজে আইলে ই ধারে।
তোমার এ রূপ দেখি জুড়াইল দুটি আঁখি
স্বরূপ করিয়া কহ মোরে।।
নাপিতানী কহে তবে ঘর মোর মধুপুরে
হেথা আইনু কামাবার তরে।
সারাদিন করি বিত্তি আমার সে এই নিত্যি
সন্ধ্যাকালে যাই আমি ঘরে।।
সখী বলে বলি আমি রাই আগে যাবে তুমি
নাপিতানী বলে চল যাব।
সখী বলে দাঁড়াও তুমি গোচর করিএ আমি
তবে তোমায় রাধা-আগে লব।।
নাপিতানী কহে ভাল তবে সেহ চলি গেল
রাই-আগে দিল দরশন।
জ্ঞানদাসে কহে এবে করজোড় করি তবে
ধীরে ধীরে করে নিবেদন।।