ভোজন মন্দির ভিতর বাহির
শোধিয়া শীতল করি।
পিঁড়া সারি সারি সুবর্ণের ঝারি
সুগন্ধ সলিল ভরি।।
রাই সখীগণ যতেক মিষ্টান্ন
ক্রম যে করিয়া রাখি।
সে সব বিনানি নন্দের ঘরণী
দেখিয়া হইলা সুখী।।
কানাই বলাই মেলি দুটি ভাই
সখাগণ করি সঙ্গে।
ভোজনে বসিয়া পক্কান্ন দেখিয়া
বটুর বাঢ়িল রঙ্গে।।
রোহিণীনন্দন করয়ে ভোজন
কানুর ডাহিনে বসি।
বামেতে সুবল সম্মুখে মঙ্গল
সঘনে উঠয়ে হাসি।।
রামের জননী দিছেন আপনি
রাধিকা রান্ধিলা যত।
সুগন্ধি ওদন বিবিধ ব্যঞ্জন
তাহা বা কহিব কত।।
বিধিঅগোচর যত উপহার
দিছেন যশোদা মায়।
রাধার বদন দেখি অচেতন
হইয়া নাগর রায়।।
অরুচি দেখিয়া আকুল হইয়া
কহয়ে নন্দের রাণী।
রাধা শুদ্ধামতি কর্পূর মালতী
তোমার লাগিয়া আনি।।
তুমি না খাইলে রাই না আসিবে
স্বরূপে কহিলুঁ তোরে।
বিশাখা ললিতা আর কুন্দলতা
ঠারিয়া কহিছে মোরে।।
মায়ের বচনে পাওল চেতনে
নাগর-শেখর কান।
রাইয়ে সুখ দিয়া আকণ্ঠ পূরিয়া
করিলা ভোজন পান।।
সব সখাগণ করিয়া ভোজন
উঠিল আপন সুখে।
আচমন করি যার ঘরাঘরি
কর্পূর তাম্বূল মুখে।।
নন্দের নন্দন করি আচমন
পালঙ্কে ঢালিলা গা।
চরণ-সেবন করে দাসগণ
শেখর করয়ে বা।।