মলয়জ পবন পরশে পিক কুহরই
শুনি উলসিত ব্রজনারী।
উলসিত পুলকিত সবহুঁ লতা তরু
মদন ভেল অধিকারী।।
মুকুলিত চূত দূত ভেল বটপদ
শবদহি দেল বাধাই।
সন্ত বসন্ত পূজায়ল ঘরে ঘরে
জগজনে আনন্দ বাঢ়াই।।
চাতক পাত্র কপোত শিখণ্ডক
দুহুঁজন লিখন বুঝাই।
দ্বিজবর সন্ত বিহঙ্গ শূকমুখে
পঞ্চম বেদ পড়াই।।
কুঞ্জলতাপর সাজল ঋতুপতি
বহুবিধ চিত্রবিধানে।
কুসুম বিকাশল রাসস্থল ঝলমল
কানু শুনল নিজ কানে।।
মাধবী মধুমতি বিমল চন্দ্রমুখি
সভাকারে কহবি বুঝাই।
রস-পরধান নারি যাঁহা বৈঠয়ে
সুন্দরি রসবতি রাই।।
ইহ মৃদু বচন শুনিয়া রসদায়িনি
দূতী চলিল উলাসে।
গুরুয়া গমনেতে চলিতে না দেখে পথ
সবহুঁ কহল ধনি পাশে।।
শুনহ বচন মোর কানু পাঠাওল
মোহে কহলি নিজ কাজে।।
শ্যাম সুঘড় নাগর রসশেখর
রাস করব বনমাঝে।।
দূতিক বোলে দোলে ঘন অন্তর
আনন্দে ঝরে দুই আঁখি।
রাধা সুমুখি সফল তনু মানই
পুন পুন কহ চল দেখি।।
যতনহুঁ আননে আন না বোলয়ে
স্বপনে নাহি আন ভান।
রাতি-দিবসে ধনি আন না ভাবই
নয়নে না হেরই আন।।
কুঙ্কুম কস্তুরি চন্দন কেশর ভরি
কুচযুগ শোভিত হারে।
বেশ বনাওল যো যাঁহা সাজল
ঐছন চলল বিহারে।।
রঙ্গিণি সঙ্গে চললি ধনি সুন্দরি
সঙ্গীত সঞ্চরু লাই।
নব অনুরাগে জাগে রূপ অন্তরে
সভে মেলি শ্যামর গাই।।