যত গোপগণ পূজে গোবর্দ্ধন
না কৈল ইন্দ্রের পূজা।
পাই অপমান কোপে কম্পমান
সাজিলা দেবের রাজা।।
মহা অহঙ্কারে কৃষ্ণনিন্দা করে
অজ্ঞানে মোহিত হৈয়া।
কহে গোপপুরী মহাবৃষ্টি করি
আজি ডুবাইব যাঞা।।
ডাকি মেঘগণে যতেক পবনে
আজ্ঞা দিলা সুরপতি।
শিলাবৃষ্টি করি ভাঙ্গ ব্রজপুরী
যাহ যাহ শীঘ্রগতি।।
আপনে তখনে চড়িয়া বারণে
বজ্র হস্তে দেবরাজ।
সঙ্গে সেনাগণ ছাইয়া গগন
আইল গোকুল মাঝ।।
চতুর্দিগে মেঘে ধায় বায়ু-বেগে
দিনে হৈল অন্ধকার।
খর বরিষণে ব্রজের ক্ষেপণে
ভাঙ্গিল ঘর দুয়ার।।
প্রলয়ের হেন বৃষ্টিধারা ঘন
ঝঞ্ঝনা চিকুর পড়ে।
হাহাকার করি পথাপথ ছাড়ি
ব্রজবাসী সব নড়ে।।
পড়িয়া সঙ্কটে কৃষ্ণের নিকটে
আইলা গোকুলবাসী।
ধেনুগণ যত যূথে যূথে কত
দাঁড়াইল নিকটে আসি।।
কৃষ্ণ মহামতি গোকুলের পতি
কর পরিত্রাণ বোলে।
চৈতন্যের দাস করি এই আশ
এবার রাখ গোকুলে।।