যমুনার তীরে সবে যায় নানা রঙ্গে।
শাঙলী ধবলী বলি আনন্দিত অঙ্গে।।
আসিয়া নিভৃত কুঞ্জে সবে দাঁড়াইল।
রাখাল দেখিয়া শ্যাম চমকি উঠিল।।
“কোন্ গ্রামে বসতি রে কোন্‌ গ্রামে ঘর।
আমার কুঞ্জেতে কেন হরিষ অন্তর।।
কাহার নন্দন তোরা সত্য করি বল।”
মুখে হেসে বাক্য কহে অন্তরে বিভোল।।
রাধা-অঙ্গের গন্ধে কৃষ্ণের নাসিকা মাতায়।
আপাদ মস্তক কৃষ্ণ ঘন ঘন চায়।।
ললিতা হাসিয়া বলে “শুন শ্যামধন।
রাধারে না চেন তুমি রসিক কেমন।।”
চণ্ডীদাস বলে শুন রাধা বিনোদিনী।
হের গো শ্যামের রূপ জুড়াবে পরাণী।