যমুনা পুলিনে চম্পক কাননে
বিলাস মন্দির সাজে।
বৃন্দা বিধুমুখী বিনোদ বিছানা
করল তাহার মাঝে।।
প্রফুল্ল কমল দল সুকোমল
তুলীর তুলনা করি।
পালঙ্ক উপরি পাতল সুন্দরী
চৌদিগে ফুলের ঝুরি।।
বিচিত্র বসনে ঝাঁপলি তখনে
বান্ধলি পাটের জাদে।
পালঙ্ক দুপাশে ফুলের বালিশে
দেয়লি মনের সাধে।।
মন্দির ভিতরে সুগন্ধি ফুলের
চাঁদোয়া বান্ধিল তথি।
রচনা করিয়া হরিষ হইয়া
জ্বালিল কনক বাতি।।
কর্পূর তাম্বূল জল সুশীতল
রাখল ভাজন ভরি।
অগুরু চন্দন দোঁহার কারণ
পূরিয়া রাখল খুরি।।
কানন শোভন না যায় কহন
মদন কোটাল তায়।
ফুলশর করে ফিরয়ে সহরে
কোকিল পঞ্চম গায়।।
সুগন্ধি শীতল বহয়ে অনিল
পরাগে পূরল বাট।
করি মধুপান অলি করে গান
ময়ূরী করয়ে নাট।।
বৃন্দা বিছানা করিয়া রচনা
জাগিয়া রহল তায়।
শেখর তখন করিয়া ভোজন
রাইক নিকটে যায়।।