রাই রাই নাম আর সব আন
চিবুকে মুরলী দিয়া।
রাধা নাম দুটি আঁখর জপিছে
কোথা সে রসের পিয়া।
খেণে রাধা-রূপ ধেয়ান করয়ে
অন্তরে ওরূপ দেখি।
খেণেক নিশ্বাসে অতি সে হুতাশে
রাধা নাম তাহে লিখি।।
মুদিত নয়ন সদা রাধা নাম
পাইয়া আপন মনে।
তেজল সকল বেশ পরিপাটী
রহই একটি ধ্যানে।।
করের অঙ্গুলি ধরি কত বেরি
জপয়ে রাধার নাম।
“এই তন্ত্র-মন্ত্র এই সুধারস”
সঘনে কহই শ্যাম।।
মুগধ মুরারি রসের চাতুরী
আকুল হইয়া চিতে ।
রাধা রাধা বিনে আন নাহি মনে
বসিল কুঞ্জের ভিতে।।
“কোথা রসময়ী দেহ দরশন
তো বিনে সকলি আন।
তুমি কুঞ্জেশ্বরী তুমি সে মাধুরী
তোর সদা করি গান।।
তোমার কারণে বাঁশীটি বদনে
শুনি বা কেমন রতি।”
* * * *
এই সে বাঁশীতে সঙ্কেত-নিশান
বাজই রসিক রায়।
তবু না ভাঙ্গল মান অভিমান
চণ্ডীদাস পুন গায়।।