রাধা কহে–“শুন আমার বচন
নিশ্চয় করিয়া কও।
কেনে হেন চিত করিলে বেকত
এত নিদারুণ নও।।
তোমা হেন ধন পরম কারণ
পাইল অনেক সাধে।
বিহি দিয়া পুনঃ করিল এমন
কি আর বলিবে রাধে।।
যে দেখি তোমার আচার বিচার
কুটিল অন্তর বড়ি।
সরল যে জন নাহি তার কোন
কুটিল কুটক ছাড়ি।
ভুজঙ্গে আনিয়া কল পূরিয়া
যতনে তাহাকে পুষে।
কোন কোন দিনে সেই বাদিয়ারে
দংশয়ে আপন রোষে।
ভুজঙ্গ সমান তেন তুয়া মন
তোঁহার চলন বাঁকা।
তোমার অন্তর সেই সে সোসর
এ দুই তুলনা একা।।
যেন মুখে আছে অমিয়া কলসী
হৃদয়ে বিষের রাশি।
অন্তর কুটিল মুখে মধুপর
আমরা এমন বাসি।
যে ছিল তা হল তাহাই করিল
নিরমল যেবা ছিল।
তাহে দিয়া কালি ঠাকুরালী তালি
কলঙ্ক উঠিল ভাল।।”
চণ্ডীদাস কহে শুন বলি রাধা
ঐছন কানুর লেহা।
অমিয়া সেচনে সরল বচনে
সঁপহ আপন দেহা।।