“শুনহ হে ভ্রমর কেন বা ঝঙ্কার
তোমার কালিয়া তনু।
তোমারে দেখিয়ে বাঢ়ল বিষাদ
বিয়োগ উঠল দুনু।।
ঝাট চলি যাও কেন দুখ দাও
চমকে আমার হিয়া।
যাহ বৃন্দাবনে নিকুঞ্জ-ভবনে
যথায় রসের পিয়া।।
সেইখানে গিয়া ফুলে মধু খেয়্যা
থাকহ যেখানে কানু।
হেথা কেনে তুমি মধুর লালসে
তোমার কালিয়া তনু।।
কালিয়া বরণ দেখি মোর মন
দ্বিগুণ জ্বলিয়া যায়।
মনের বেদনা বুঝে কোন জনা
এ কথা কহিব কায়।।”
এ কথা শ্রবণে শুনি মধুকর
তখনি চলিয়া গেল।
কোথাও না দেখি মেলি দুটী আঁখি
তবে সে ধৈরজ ভেল।।
নীল কাল জাদ ফেলিল ছিনিয়া
কিছু না রাখল ভালে।
অঙ্গের কাঁচলী ফেলে দূর করি
নীলের উড়নী দূরে।।
কাল আভরণ ফেলিয়া তখন
পরল ধবল বাস।
হিয়ার কাঁচলী পরল ধবল
কহেন এ চণ্ডীদাস।।