শুনিয়া নিঠুর বচন আমার
সে চন্দ্রবদনী রাধা।
হইল প্রেমের অঙ্কুর সুন্দর
ভাঙ্গে পাছে পাঞা রাধা।।
সখি আর কি কহিব তোরে।
কেনে পরিহাস- বচন নৈরাশ
কহিলুঁ হইয়া ভোরে।।
কিম্বা সেই ধনী ধৈর্য্য ধরে জানি
হৃদয়ে ধরিয়া বেথা।
পাছে সে বেথায়ে সে তনু জারয়ে
উপায় কি করি এথা।।
কিম্বা দারুণ কামের কামান
বিন্ধয়ে বিষমশরে।
শিরীষের ফুল জিনিয়া কোমল
সেহ কি সহিতে পারে।।
হা হা সে সুগধি রূপের অবধি
ফলি মনোরথ-লতা।
হা হা কেনে হেন বঞ্চন-বচন
কহি কৈলু উন্মূলিতা।।
অমৃত পুতলি রূপের আগলি
না জানি কি জানি হয়।
এ যদুনন্দন- দাস মনে ভণ
দর্শনে পরাণ রয়।