শুনিয়া মায়ের বাণী কহে প্রভু গুণমণি
শুন মাতা আমার বচন।
জন্মে জন্মে মাতা তুমি তোমার বালক আমি
এই সব বিধির লিখন।।
ধ্রুবের জননী ছিল পুত্রকে বৈরাগ্য দিল
ভজে তেঁই দেব চক্রপাণি।
রঘুনাথ ছাড়ি ভোগে বনে বনে ফিরে দুঃখে
ঝুরে সদা কৌশল্যা জননী।।
তবে শেষে দ্বাপরে কৃষ্ণ গেলা মধুপুরে
ঘরে নন্দরাণী নন্দ পিতা।
সর্ব্ব পরে এই হয়ে এ কথা অন্যথা নহে
মিথ্যা শোক কর শচী মাতা।।
বিধাতার নির্ব্বন্ধ যাহা কেবা খণ্ডাইবে তাহা
এত জানি স্থির কর মন।
ভজ কৃষ্ণ কর সার আর নাহি সংসার
পাইয়া পরম পদ ধন।।
রোদন করিলে তুমি ডাকিলে আসব আমি
এই দেহ তোমার পালিত।
আশীর্ব্বাদ কর মোরে যাই নীলাচলপুরে
তুমি চিত্তে কর সমাহিত।।
প্রভু স্তুতি বাণী কহে শচী নির্ব্বচনে রহে
পড়ে জল নয়ন বহিয়া।
বাসু কহে গৌরহরি এই নিবেদন করি
পুনরপি চলহ নদীয়া।।