শুন লো বড়াই বুড়ি তুমি সে নাটের গুঁড়ি
আনিয়া করিলি পরমাদ।
মোর মনে যত ছিল সকলি বিফল হৈল
দূরে গেল ঘর যাবার সাধ।।
দু কূলে বহিছে বায় কাঁপিছে রাধার গায়
নন্দ-সুত নবীন কাণ্ডারী।
তরণী নবীন নয় ভার দিতে করি ভয়
ভাঙ্গা নায় বসিতে না পারি।
হাসি বলে গোবিন্দাই পার হবে ভয় নাই
অশ্ব গজ কত করি পার।
দেবতা গন্ধর্ব্ব কত পার হয় শত শত
যুবতীযৌবন কত ভার।।
শুন বিনোদিনী রাই নয়ান ইঙ্গিতে চাই
কানুমন করিলে হে চুরি।
হাসি হাসি ধীরে ধীরে ভাঙ্গা তরণীর পরে
আঁচলে ধরিল যাই হরি।।
সখীগণ দেখি রঙ্গ আন ছলে দেই ভঙ্গ
রাই কানু রহে এক পাশে।
কাম কলহবাদ পূরল মনের সাধ
হরষিত দেখে বংশীদাসে।।