“শুন শুন ভেয়া নন্দ-দুলালিয়া
যে দেখিল হেন খেলি।
দেখাইনু এত মনেতে লাগিল
কহ দেখি বনমালী ?”
কহে নন্দসুত তায়ে– “আমার মরম-ভেয়ে,
যে দেখিনু বৃকভানুপুরে।
তাহাতে ইহাতে খেদ নাহি কিছু বর্ণভেদ
পশি পুন রহিল অন্তরে।।
সেই যেন কমলিনী দেখিল তেমতি খানি
শুন ভাই সুবল সাঙ্গাত।
ও জন যতন করি দেখাহ আমারে বেরি
কেমনে ইহারে দেখি সাত।।
শুন সখা মর্ম্ম-বোল অন্তর হইল ভোল
এই সেই দেখিনু সাক্ষাত।
কেমন উপায় মিলি সেই সে চন্দ্রিকা বালি
শুন শুন মরম সাঙাগত।।”
সুবল কহেন তাহে– “আমি মিলাওব তোহে
ইহাতে অন্যথা নাহি কিছু।
গিয়া বৃকভানুপুরে খেলাইব কুতূহলে
মোহিত করিব তাহে পিছু।।
যাব পঞ্চ শিশু সনে সবে হইয়া একমনে
খেলিব বিনোদ খেলা অতি।
মায়া-ছলে মুগ্ধ করি মোহন মূরতি ধরি
অনায়াসে দেখাব যুবতী।।
এই যমুনার তটে বৈস ভাই সুনিকটে
চম্পকের বন অনুপাম।”
চণ্ডীদাস সুখ চিতে দেখে তাহা একভিতে
গভরেত বংশীগুণ গান।