“সই কি আর বলিব মায়।
তিল দয়া নাহি তাহার শরীরে
একথা কহিব কায়।।
মায়ের পরাণ এমনি ধরণ !
তার দয়া নাহি চিতে।
এমন নবীন কুসুম-বরণ
বনে নহে পাঠাইতে।
কেমনে ধাইব ধেনু ফিরাইব
এহেন নবীন তনু ।
অতি খরতর বিষম উত্তাপ
প্রখর গগন-ভানু।।
বিপিনে বেকত ফণী শত শত
কুশের অঙ্কুশ তায়।
সে রাঙ্গ চরণে ছেদিয়া ভেদিব
মোর মনে হেন ভায়।।
আর এক আছে কংসের আরতি
জানি বা ধরিয়া লয় ।
সঘনে সঘনে লয় মোর মনে
সদাই উঠিছে ভয়।।”
চণ্ডীদাসে কয়– “না ভাবহি ভয়
সে হরি জগতপতি।
তারে কোন জন করিব তাড়ন
এমন না দেখি কতি।।”