সখি কহে—“শুন ধনি, রমনির শিরোমণি,
সুভ দশা জানল এখন।
নিসির সপনে জদি দেখিয়াছ গুণনিধি
তব হরি আয়ব ভবন।।”
হরষ-বদন ধনি কহয়ে কিছুই বানি–
“কোকিল সতিন সম ভেল ।
করিতে রসের সুখ হেন বেলে দিলে দুখ
আচম্বিতে ডাকিয়া উঠল ।।
ভালই তাহার কাজ সে রসে পড়িল বাজ
হইব অক্ষটিয় বিনাসি।
হেনক ভাবিল মনে তার রাখে কোন জনে
গলাএ ধরিয়া দিব ফাঁসি ।।
জতেক লোকিল আছে গিয়া সে তাহার কাছে
ধরিব জতেক পিকগণে ।
সভারে করিয়া জড় মারিতে কর‍্যাছি দড়
যমুনাতে ডুবাব জতনে।।
বিনাশ করিব তারে এ দুঃখ কহিব কারে
সেই ভেল বিপুর সমান।
সুখেতে করিল দুঃখ না হল মনের সুখ
শুনি রব উঠি গেল কান।।
মনেতে হইল ভয় ননদিনী পাপাশয়
দুর্ম্মতি বিঘিনী কুলকাটা।
ভাঙ্গিল নয়ন-নিন্দ গেলা তেজি গোবিন্দ”—
চণ্ডীদাস ভাবে লেঠা।।