সহচরী বলে-“ভালে শুন নবরামা।
না দেখ মূরতি রতি বনচারী নামা।।”
একথা শুনিয়া রাধা হাসিতে লাগল।
“বনচারী দেবে কতি দেখিতে না পাল্য।।”
চলিলা যমুনা স্নানে সহচরী সনে।
স্নান করি রসবতী চলিলা ভবনে।।
নিজ নিকেতনে গৌরী করিল পয়ান।
ভাবিতে লাগিল সেই রূপের আখ্যান।।
নাগর বটের মূলে আছয়ে বসিয়া।
নবঘন পথ চাহি সুবল লাগিয়া।।
হেনক সময়ে আসি সুবল মিলিল।
চিত্রপট কথা সকল কহিতে লাগিল।।
নাগর হরষ বড় সুবলের বোলে।
আনন্দে সুবল লয়া করিলেন কোলে।।
“তোমা হইতে মিলি রাধা অনেক যতনে।
বহুমূল্য হেম মণি দিলে তুমি দানে।।
হে…মণি রত্ন কত খুজিলে সে পাই।
প্রাণ সমতুল বস্তু দিলে মোর ঠাঁই।।
কিনিলে আমার মন প্রেমডোর দিয়া।
ইহাকে অধিক কিবা সুখী হইল পায়্যা।।”
চণ্ডীদাস কহে কিছু করিয়া বিনয়।
পূর্ব্বরাগ সখা-উক্তি এই রস কয়।।