সুন্দরি শুনহ আজুক কথা।
তাপ দূরে গেল সব ভাল হৈল
ইহা উপজিল যথা।।ধ্রু।।
অরুণ উদয়ে ব্রাহ্মণ-নিচয়ে
আইল গোকুল মাঝ।
জরতীর স্থানে কবি নিবেদনে
আপন মনের কাজ।।
গোবর্দ্ধন পাশে আমরা হরিষে
করিব যজ্ঞের কাম।
যে গোপ-যুবতি ঘৃত দিবে তথি
ইষ্ট বর পাবে দান।।
জটিলা শুনিয়া আমারে ডাকিয়া
যতন করিয়া বৈল।
বধূরে সাজাঞা গাবী-ঘৃত লৈয়া
তুরিতে তাহাঁই চৈল।।
এ সব বচনে সব সখীগণে
রাইয়ের আনন্দ হোয়।
সে হেন নাগর গুণের সাগর
দরশ হইবে মোয়।।
এত মনে করি অতিরসে ভরি
অঙ্গহি সুবেশ কেল।
ঘৃতের পসার সাজাঞা সত্বর
সভে মেলি চলি গেল।।
এ কথা জানিয়া সে যে বিনোদিয়া
বান্ধিয়া ও চূড়া –চান্দে।
সুবলাদি লইয়া আধ পথে যাইয়া
রহল দানীর ছান্দে।।
বেণুর নিসান করয়ে সঘন
বাজায় ও জয়-তুরী।
এ যদুনন্দন করে দরদশ
নিবিড় আনন্দে ভরি ।।