সুমুখী সঙ্কেত জানি তুরিতে চলিলা রাণি
আসিয়া পশিলা বেশঘরে।
কানুরে আনিয়া তথি বেশ করে যশোমতী
দুখে হিয়া দর দর করে।।
নন্দরাণী কাচ কাচে নাটুয়ার ছাঁদে।
শিরে গুঞ্জা দিয়া বেড়া টানিয়া বান্ধিল চূড়া
তাহে দিলা শিখিপুচ্ছচাঁদে।।ধ্রু।।
কিবা সে গ্রীবার শোভা মদনের মনলোভা
গোরাচনা তিলক সুভালে।
হিয়ে হারমণি জ্বলে বনমালা দোলে গলে
অমল মুকুতা নাসাতলে।।
অঙ্গদ বলয়া করে শোভিয়াছে থরে থরে
চন্দনে চিকণ কালা-তনু।
পরাইল পীত ধড়া তাহাতে ঘাগর বেড়া
চলইতে করে রুনু ঝুনু।।
রাতুল ধড়ার থোপে দুদিগে নামিয়া শোভে
বঙ্করাজ সনে করে মেলা।
ক্ষেণে ক্ষেণে উড়ে বায় আসিয়া লাগয়ে পায়
নূপুর সহিতে করে খেলা।।
ডাকিনী শাকিনী ভয়ে ধড়ে প্রাণ নাহি রহে
বাদিয়া সাধিয়া আনি মায়।
অজর বজর তনু হয় যে রাম কানু
এই রক্ষা বান্ধি দিবে গায়।।
বাদিয়া সাধন পড়ি বান্ধে রক্ষা দেহ জুড়ি
রাম দামোদর দেখি হাসে।
দণ্ডবৎ করি মায় রাম দামোদর যায়
যশোদা রোহিণী তার পাশে।।
রহিয়া রহিয়া যায় ফিরিয়া ফিরিয়া চায়
জননী প্রবোধে বারে বারে।
শেখর শুনহ বোল কি লাগিয়া কর রোল
মায়েরে লইয়া যাও ঘরে।।