সেবয়ে সেবকগণ আনন্দে আকুল মন
নেহসুখে পাসরে আপনা।
রাম দামোদর বিনে আর কিছু নাহি জানে
সেবাসুখে সতত মগনা।।
আস্তে ব্যস্তে অলঙ্কার ঘুচাইল দোহাঁকার
ভোজনের বসন পরাইয়া।
চরণ পাখালি নীরে মোছিল পাতল চীরে
ভোজন ভবনে যায় লইয়া।।
রক্তক পবিত্র করি পাতে পিঁঢ়া সারি সারি
পূরি ঝারি সুশীতল নীরে।
রাম দামোদর আসি পিঁঢ়ার উপরে বসি
বাপেরে বোলায় বারে বারে।।
নন্দ মহানন্দ পাইয়া ভোজনে বসিলা যাইয়া
রামকানু লৈয়া দুইপাশে।
দুধ ভাত পূরি বেলা যশোদা আনিয়া দিলা
আর কত সুমধুর রসে।।
ক্ষীরপুরি ভরি থালা সভারে আনিয়া দিলা
ভোজন করয়ে তিনে সুখে।
দোহাঁর ভোজন দেখি মাতার শীতল আঁখি
ঘুচিল মনের সব দুখে।।
মা বাপের প্রেমরসে ভুঞ্জিল সকল রসে
ঘন ঘন উঠিবারে চায়।
আলসে অবশ তনু হইলেন কামকানু
দেখিয়া দুখিত ভেল মায়।।
আসিয়া সেবকগণ করাইল আচমন
শয়ন ভবনে লৈয়া যায়।
হলধর নিন্দভরে চলিলা আপন ঘরে
কানাইরে শয়নে পাঠায়।।
নন্দের নন্দন কান মুখে দিয়া গুয়াপান
বসিলা সুখদ শেজপরি।
আলসে ঢালয়ে গা সেবক সেবয়ে পা
নিদ্রায় নয়ন গেল ভরি।।
নিন্দে ভেল অচেতন দেখিয়া সেবকগণ
আপন আপন ঘরে যায়।
শেখর সময় জানি কহে শুন বিনোদিনি
ভোজনের করহ উপায়।।