সেখানে এখানে একই দেখি।
যুগল পিরীতের এই সে সাখী।।
উঠিয়া চলহ অভিসারে যাই।
শুনি ধনী উৎকণ্ঠায় ধাই।।
দুই সখী দুই পাশেতে যায়।
প্রেম অনুরাগে রাধিকা ধায়।।
কত দূরে গিয়ে পাইল বৃন্দাবন।
নয়নে দেখিল কৃষ্ণ প্রাণধন।।
মন্দির দ্বারেতে দাঁড়াল কিশোরী।
শ্যামচাঁদ উঠি আইল আগুসারি।।
আহা মরি মরি প্যারী আইল।
বিষময় তনু অমৃত হইল।।
তবে শ্যাম নিল করেতে ধরি।
ধরি বসাইল পালঙ্ক পরি।।
নিজ বাসে দুটি চরণ ঝাড়ে।
কতেক আলিঙ্গন চুম্বন করে।।
মনের বিরহ গেল সব দূরে।
হাসিয়া বসিল বঁধুর কোড়ে।।
বঁধুর অঙ্গে হেলান দিল।
দুহুঁ তনু দুহুঁ একই হইল।।
হাস্য পরিহাস কতেক রঙ্গে।
অনঙ্গ মাতিল রসের তরঙ্গে।।
দুজনে ঢালিল পালঙ্কে গা।
স্বর্ণলালি বৃন্দে করিছে বা।।
পথের শ্রম মনেতে জানি।
ঊরু পরে ধরে চরণ দুখানি।।
দুজন দেখিয়া অলসে ভোর।
চরণ রাখিয়া উঠিল সত্বর।।
সত্বর আসিয়া দাঁড়াইল পাশে।
দুজনার বিলাস সুখেরি আশে।।