হরি হরি কবে আর পালটিব দশা।
এ সব করিঞা বামে যাব বৃন্দাবন ধামে
এই মনে করি আছি আশা।।
ধনজন পূত্র দারে এসব করিঞা দূরে
একান্ত করিঞা কবে যাব।
সব দুঃখ পরিহরি ব্রজপুরে বাস করি
মাধুকরি মাগিঞা খাইব।।
যমুনার জল যেন অমৃত সমান হেন
কবে খাব উদর পুরিয়া।
রাধাকুণ্ড জল স্নান কবে কুতূহলে নাম
শ্যামকুণ্ডে রহিব পড়িঞা ।।
ভ্রমিব দ্বাদশ বনে রসকেলি যে যে স্থানে
প্রেমে গড়াগড়ি তাহে দিঞা।
শুধাইব জনে জনে ব্রজবাসীগণ স্থানে
নিবেদিব চরণে ধরিঞা।।
ভোজনের স্থান কবে লোচন গোচর হবে
আর কত আছে উপবন।
তার মাঝে বৃন্দাবন নরোত্তম দাসের মন
আশা করে যুগল চরণ।।