হাসিয়া নাগর চতুর-শেখর
রাধারে কিছুই বলে।
কহিল সকল তোমার গোচর
বাঁশীর বচন ছলে।।
কখন কখন বাজয়ে কেমন
কখন মধুর সম।
কখন কখন গরল সমান
গাইতে হইয়ে ভ্রম।।
কোন অভিলাষে বাজয়ে কেমন
না জানি ইহার রীত।
মধুর মধুর বাজয়ে সুস্বর
কত আনন্দের গীত।।
বাঁশী পরবশ নহে নিজ বশ
কখন হয়নি ভাল।
বাঁশীর চরিত বুঝিতে না পারি
তুমি বা কি আর বল।।
তুমি কি জানিবে মধুর মুরলী
নহে পরিচয় তায়।
বাঁশী আগে কর বশীভূত পণা
তবে কিবা রস হয়।।
যখন না ছিল পরিচিত রাধা
এবে হল জানা শুনা।
চণ্ডীদাস বলে আমি জানি ভালে
যে দেহ দুকুলে হানা।।