হেথা সে অক্রূর রথ সাজাইয়া
করজোড় করি কয় ।
“মধুপুর-দেশ চল হৃষীকেশ
বিলম্ব নাহিক সয়।।”
এ বোল শুনিয়া শ্রবণ পূরিয়া
কৃষ্ণ বলরাম দুই।
‘ভাল, ভাল’-বলি তুরিত গমন
মধুর মধুর কই।।
“মোর সখাগণ তুষি তার মন
তবে সে চড়িব রথে।”
সবারে লইয়া আনল যতনে
কহিতে লাগিল তাথে।।
“অনেক খেলিল শ্রীদাম সুদাম
সুবল সবার সনে।
কিছু না ভাবিহ মরমে রাখিহ
না কর ভাবনা মনে।।
তোমাদের চিতে আছি অবিরতে
হিয়ায়ে হিয়ায়ে মেলা।
এই সখাগণে লয়ে ধেনুগণে
জনম করিয়ে খেলা।।”
এ যদুনন্দন করয়ে রোদন
ছলে সে কমল-আঁখি।
যেন সুরধুনী- তরঙ্গ তেমনি,
বনে তেয়াগল লক্ষ্মী।।
ফুলি ফুলি মুখ সে বিধুমণ্ডল
কহিতে না ফুরে বাণী।
চণ্ডীদাস কহে– “আঁখি ভরি লোহে
কহিলকি হয়ে জানি।।”