হেদে লো পরাণ সই মরম তোমারে কই
সাঁজের বেলা গিয়াছিলাম জলে।
নন্দের নন্দন কানু করে লৈয়া মোহন বেণু
দাঁড়ায়্যা রয়্যাছে তরু মূলে।।
না চাহিলাম তরু মূলে ভরমে নামিলাম জলে
ভরি জল কলসী হিলায়্যা।
শ্রবণে দংশিল বাঁশী অন্তরে রহিল পশি
মর‍্যা ছিলাম মন মুরছিয়া।।
একই নগরে থাকি তারে কভু নাহি দেখি
সে কভু না দেখয়ে আমারে।
হাম কুলবতী রামা সে কেমনে জানে আমা
কোন সখী কৈয়া দিল তারে।।
সঙ্গে ননদিনী ছিল সেহ তারে দেখি আইল
প্রাণ মোর কাঁপে সেই ডরে।
বসু রামানন্দের বাণী শুন রাধা বিনোদিনী
সে কি সতী বোলাইতে পারে।।