হে হরে মাধুর্য্যগুণে হরিলে যে নেত্র মনে
মোহন মূরতি দরশাই।
হে কৃষ্ণ আনন্দধাম মহাআকর্ষক ঠাম
তুয়া বিনে দেখিতে না পাই।।
হে হরে ধৈরজ হরি গুরুভয় আদি করি
কুলের ধরম কৈলা চূর।
হে কৃষ্ণ বংশীর স্বনে আকর্ষিয়া আনি বনে
দেহ গেহ স্মৃতি কৈলা দূর।।
হে কৃষ্ণ বিবিধ ছলে উরোজ কর্ষহ বলে
থির নহ অতি অনুরাগে।।
হে হরে আমারে হরি লৈয়া পুষ্প তল্পোপরি
বিলাসের লালসে কাকুতি।
হে হরে গুপতে বস্ত্র হরিয়া সে ক্ষণমাত্র
ব্যক্ত কর মনের আকূতি।।
হে হরে বসন হর তাহাতে যে হেন কর
অন্তরের হর যত বাধা।
হে রাম রমণঅঙ্গ নানা বৈদগধি-রঙ্গ
প্রকাশি পূরহ মনের সাধা।।
হে হরে হরিতে বলী নাহি হেন কুতূহলী
সভার সে বাম্য না রাখিলা।
হে রাম রমণরত তাহা প্রকটিয়া কত
কি না রসাবেশে ভাসাইলা।।
হে রাম রমণ প্রেষ্ঠ- মন রমণীয় শ্রেষ্ঠ
তুয়া সুখে আপনা না জানি।
হে রাম রমণ ভাগে ভাবিতে মরমে জাগে
সে রসমূরতি তনুখানি।।
হে হরে হরণ তোর তাহার নাহিক ওর
চেতন হরিয়া কর ভোর।
হে হরে আমার লক্ষ হর সিংহ প্রায় দক্ষ
তোমা বিনে কেহ নাহি মোর।।
তুমি সে আমার প্রাণ তোমা বিনে নাহি জান
ক্ষণেকে কলপশত যায়।
সে তুমি অনত গিয়া রহ উদাসীন হৈয়া
কহ দেখি কি করি উপায়।।
ওহে নবঘনশ্যাম কেবল রসের ধাম
কৈছে রহ করি মন ঝুরে।
চৈতন্য বোলয়ে যায় হেন অনুরাগ পায়
তারে বন্ধু মিলয়ে অদূরে।।