“শুন বসুদেব রাঅ।
এমত ছাআলে এ মহিমণ্ডলে
না দেখি কনহু ঠাই।।
নব জলধর করে ঢল ঢল
বরণ অঞ্জন সম ।
নীল জে মুকুর অতসীর ফুল
তেমতি দেখএ ভ্রম।।
নয়ান খঞ্জন পাখীয়া সমান
চৌরস কপাল-পাটী।
তাহে নানা চিত্র বিচিত্র লিখন
বিহে সে লিখন কটী।।
মুখ শশধর নাসা সে সুন্দর
জেমত কিরের চঞ্চু ।
দশন কুন্দের কালিকা সমান
জেমত কুমুদ-বন্ধু।।
রূপের ছটায়ে আন্ধার ঘরেতে
জ্বলিয়া জ্বলিয়া উঠে।
জেন কোটি চান্দ উদঅ করিল
রসের পশরা-হাটে।।
কিবা বাহুজুগ জেমন মিলান
তৈছন গঠন-ভাতি।
কুম্ভস্থল জেন হস্তি-শির সম
দেখিয়া তাহার পাতি।।
করি-অরি জিনি নিতম্ব বাখানি
চরণ রাতুল দেখি।
জেমন হিঙ্গুল দলিআ অনল
পাইয়ে তেমত সাখি।।
চরণ-অঙ্গুলে দশ শশধর
উদঅ হইঞা আছে।।”
দৈবকী কহেন– “শুন, বসুদেব,
আগে আসি দেখ কাছে।।
এমন মধুর মুরতি না দেখি
আপন গিআন কালে।
কোন দেব আসি জনম লভিল
অভাগী বৈদকীঘরে।।
দেবের দেবতা যেন এ মানুষ
এ সব লক্ষণ জার।”
চণ্ডিদাস বলে — “তোর ভাগ্যে ফলে,
সি ফল ফলয়ে কার ?”