“একবার চাহ মায়ের পানে।
কে তোরে যুকতি দিল নিশ্চয় আমারে বল
এই সে আছিল তোর মনে।।
গোকুলের যত লোক পাইয়া দারুণ শোক
তখনি মরিব তুয়া গুণে।
ব্রজশিশু যত জনে ভাবিতে তোমার গুণে
তারা এবে তেজিব পরাণে।।
গোঠে মাঠে ধেনু সনে কে আর ফিরিবে বনে
কে আর করিবে নানা খেলা।
আর না শুনিব বাণী মধুর বচনখানি
কে আর করিবে পাল মেলা।।
শ্রীবদন মুখ মেলি দিব ছেনা দুধ ননী
কে আর ডাকিবে মা বলিয়ে।”
কাঁদে নন্দঘোষ রায় অবনীতে গড়ি যায়
কাঁদে রাণী গলায় ধরিয়ে।।
চণ্ডীদাস মূরছিতে পড়ে কাঁদি এক ভিতে
যশোদার ধরিয়া চরণে ।
এ সকল কথা শুনি আহীর-রমণী ধনী
ধাইয়া আইল সেইখানে।।